বগুড়া সদরের বামনপাড়া দক্ষিনপাড়ায় পূর্বের শক্রতার জেরে মুরগি ফার্মে বিষ প্রয়োগে প্রায় লক্ষধিক টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়, এ বিষয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সোমবার(৩১ মে) সকালে সরেজমিনে আলতাফ হোসেনের ছেলে মুনসুর আলীর মুরগি ফার্মে গেলে তিনি জানান গতকাল রবিবার দিবাগত রাতের আধারে তাহার মুরগি ফার্মে বিষক্রিয়া মাধ্যমে ফার্মে বেশ কিছু সংখ্যক মুরগি মেরে ফেলে হয়। যা প্রায় ৬ থেকে ৭ শত পিচ হবে। এতে করে আমার প্রায় লক্ষধিক টাকা ক্ষতি সাধন হয়।
থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বামননপাড়া গ্রামে একটি বিল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে। আসামী বেলাল হোসেন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ আমার যে কোন ধরনের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি প্রদান করে আসতে থাকে। আমি বিষয়টি এলাকার মাতুব্বরদের জানিয়ে রাখি। ৩০/০৫/২০২১ ইং তারিখ বিকাল অনুঃ ০৫:৩০ ঘটিকার সময় আমার বাড়ীর পৃর্বে পার্শ্বে আমার মুরগির খামারের সামনে আমি ও আমার ছেলে মোঃ আইনুল ইসলামসহ খামার দেখাশুনা করাকালে আসামী বেলাল হোসেন খামারের সামনে এসে আমাকে উদেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ বিভান্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে। আমি আসামী বেলাল হোসেনের কার্যে প্রতিবাদ করলে আসামী বেলাল আমার মুরগি খামরের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি প্রদান করে চলে যায়। হৈচৈ শুনে আমার স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা খাতুন, হবিবর রহমান সহ অনেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ঘটনাটি দেখে ও শোনে। উপরিক্ত আসামী বামনপাড়া বাজারে জনৈক হবিবর রহমান এর নিকট প্রকাশ করে যে, আমার মুরগির খামারের ক্ষতি সাধন করাসহ আমাকে ও আমার ছেলেকে খুন জখম করে ফেলবে বলে প্রকাশ করে। ৩০/০৫/২০২১ ইং তারিখে অনুমান রাত ১১ ঘটিকার সময় আমার মুরগির খামার থেকে বাড়ী গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ৩১/০৫/২০২১ ইং তারিখে অনুমান ভোর ৫:০০ ঘটিকার সময় ফজরের নামাজ পরে খামারে যাওয়াকালে আসামী বেলাল হোসেন খামারের দক্ষিণ পার্শ্বে দিয়ে পৃর্বে দিকে হেটে যাচ্ছে দেখতে পাই। তার পর খামারে যেয়ে দেখি যে, আমার খামারে ২০০০ হাজার পিচ সোনালী মুরগির মধ্যে ৯৩৫ পিচ মুরগি মরে গিয়েছে। বাকি মুরগি গুলো ছটপট করছে। আমি আসামী বেলাল হোসেনকে আমার খামারের বিষ প্রয়োগ করে মুরগি মারার কারণ জিঙ্গাসা করলে আসামী বেলাল হোসেন বলে যে, তুই দেখছিস কি, তোর আরো ক্ষতি করা হবে। তুই যা পারিস তা করিস বলে চলে যায়।
মুনসুর আলী স্ত্রী আকলিমা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলী আহম্মেদ রাজুর সংঙ্গে জমিজামা সংক্রান্ত জেরে এমন কাজ হতে পারে। তিনি আরো জানান দীর্ঘ ৬ মাস যাবৎ তাদের সংঙ্গে রাজুর জমাজামি সংক্রান্ত নিয়ে বিরোধ ছিলছে, সেই বিরোধে জেরে কিছু দিন আগে আমাদের বেশ কিছু গাছ কর্তন করে। এবিষয়ে সদর থানায় অভিযোগ
ডায়রি করা হয়েছে। আজ আমাদের ফার্মে বিষ প্ররোগ করলো। সব কিছু তার নিদ্দের্শে বেলাল হোসেন ও জাহিদ করছে বলে জানান।
স্থানীয় নুরআলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এখানে ফার্ম করেছেন দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ। আমরা কোন দিন শুনিনি মুরগি মরার কথা। হঠাৎ করে আজ শুনতে পারি রাতে মুরগি মারা গেছে। বিষটি খুবি দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আলী আহম্মেদ রাজু সাথে তাদের জমাজামা সংক্রান্ত নিয়ে একটা বিরোধ ছিল, সেটা নিয়ে বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা পর্যস্ত হয়েছে। এই কাজ তারা করতে পারে বলে জানান।