চেতনাবার্তাঃ বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী দৈহিক চাহিদা পূরনের জন্য মেয়ে নিয়ে এসে অপকর্ম করে টাকা পরিশোধ করতে না পেরে মাঠে ঘাস খাবাররত অন্যের ছাগল দিয়ে টাকা পরিশোধের চেষ্টা, এলাকায় ছিঃ ছি রব।
সরে জমিনে ও এলাকাবাসী এবং ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগামী দিনে চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী জনৈক এক ব্যক্তি মাঝে মধ্যেই তার বন্ধুদের নিয়ে বাহিরে থেকে দেহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে এসে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অথবা ঝাউ জঙ্গলে নিয়ে যেয়ে তাদের দৈহিক চাহিদা পুরণ করে থাকে। গত ৩১ জুলাই ২০২১ ইং তারিখে একই কাজ করার জন্য ঐ চেয়ারম্যান প্রার্থীর পূর্ব পরিচিত মহাস্থান মাজার এলাকার পাথর পট্রি এলাকার জনৈক এক মেয়েকে ৫ বন্ধু মিলে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে দুপুরে তাদের কাছে ডেকে নিয়ে এসে তাদের দৈহিক চাহিদা পুরণ করে। মেয়েটি তার কনট্রাক অনুযায়ী কাজ শেষে ৫ হাজার টাকা চাইলে তার হাতে ৫ শত টাকা দিয়ে বলে আমাদের কাছে আর কোন টাকা নেই। জমিতে ঘাস খাওয়ারত একটি ছাগল নিয়ে এসে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে আসা ব্যক্তিটি জানায় যে এটা আমার ছাগল, এটা বিক্রি করে তোর টাকা নিয়ে নিবি।
মেয়েটি তার কথামত গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের ১ হাজার গজ উত্তরে সেই জায়গা হতে ছাগলটি নিয়ে করতোয়া নদী পার হয়ে শেখেরকোলা ইউনিয়নের বালুপাড়া জমির ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ছাগল চোর সন্দেহ তাকে আটকে রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সংবাদ দিলে সে ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করে যে ছাগলটি সে কোথায় থেকে নিয়ে এসেছে? মেয়েটি জানায় আমি চোর না, আমাকে গোকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী —- কাজ করে কন্ট্রাক অনুযায়ী টাকা দিতে না পেরে ৫ শত টাকা ও ছাগলটি দিয়েছে। ছাগলের মালিক মজনু সংবাদ পেয়ে তার ছাগলটি নিয়ে আসে।মেয়েটি জানায় তার ব্যাপারে আমি আইনগত ব্যবস্থ্যা গ্রহন করব। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্যর সাথে কথা বললে তিনি জানান মেয়েটি গোকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ঐ ব্যক্তি, যে তাকে ছাগল দিয়েছে, তার নাম বলেছে। এরা যদি ভবিষ্যতে জন প্রতিনিধি হয়, তাহলে জনগনের কি উপকার হবে? এসংবাদ লেখা পর্যন্ত মেয়েটির পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে।