দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের তিশিগাড়ী বাঁক মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে অকালেই ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। দুঘর্টনারোধে এই বাঁকে নেই কোন সড়ক সংকেত।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে এই তিশিগাড়ী বাঁকটি। এলাকার এই বাঁক খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই বাঁকের দু’পাশে কোন সড়ক সংকেত নেই। ফলে প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা লেগেই থাকছে। সড়কের এই বাঁকটিতে ঢাকা-নওগাঁগামী কোচসহ যাত্রীবাহী বাস ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এক জরিপে জানা গেছে, বিগত ৩ বছর এই স্থানে মাইক্রোবাসের দুর্ঘটনায় উপজেলার ভূতপূর্ব এক সাব রেজিস্টারের মৃত্যু হয়েছে। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আদমদীঘি প্রকৌশলী অফিসের প্রধান হিসাব রক্ষক এই মোড়েই মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন। সম্প্রতি গত ৮ জুন প্রাইভেটকার গাছের সাথে ধাক্কা লেগে এক দম্পতি নিহত হন। এছাড়াও বাসে বাসে সংঘর্ষ, ট্রাক-বাসে সংঘর্ষে দুমড়ে, মুচড়ে গেছে অনেক যাত্রীবাহী বাস, কোচ, মটরসাইকেল দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছেই।
এ ক্ষেত্রে প্রাণহানীর মতো ঘটনা ঘটেছে। আবার অনেকে পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছে। সচেতনভাবে গাড়ি চালাতে গিয়েও সংকেত চিহ্ন না থাকায় অনেক ড্রাইভার এই স্থানে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে, ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকটি সবার কাছে পরিচিত লাভ করলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদাসীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁকের দু’পাশে দ্রুত সড়ক সংকেত সাইনবোর্ড স্থাপন করে দুর্ঘটনার কবল থেকে বাস ও যাত্রীদের রক্ষায় সড়ক ও জলপথ বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে আজ শুক্রবার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বগুড়া-নওগাঁ মাহাসড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলার তিশিগাড়ী বিশাল বাঁকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করে জানান, সাইনবোর্ড দিলেই দুর্ঘটনা রোধ করা হয়তো সম্ভব হবে না। চালকদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবুও জরুরি ভিত্তিতে সড়কের ওই স্থানের দু’ধারে সড়ক সংকেত সাইনবোর্ড লাগানোর ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।