শিক্ষার্থী, শিশু ও নাগরিক হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শুক্রবার দ্রোহযাত্রা হয় রাজধানীসহ সারাদেশে। রাজধানী থেকে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়। এরপর শনিবার গণমিছিল ও রবিবার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক এসেছে। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় আসিফ মাহমুদ একটি স্ট্যাটাসে নতুন কর্মসূচি জানিয়েছেন।
বন্ধু, শিক্ষার্থী কিংবা সহযাত্রীর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে দ্রোহযাত্রা শিক্ষার্থীদের। এতে বয়স-পেশার শ্রেণি ভুলে ছাত্র-শিক্ষক-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সবার উপস্থিতি। হাজারো মানুষের যাত্রায়, দ্রোহের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দ্রোহের যাত্রার শুরু জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত পদযাত্রার গন্তব্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রেসক্লাবে জড়ো হওয়া মানবস্রোত হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-টিএসসি হয়ে পৌঁছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায়।
সেখানে স্মরণ করা হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের। শিক্ষার্থী, শিশু ও সাধারণ নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদ জানান অভিভাবকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা। বলেন, নৈরাজ্যকর হত্যার দায় নিতে হবে সরকারকে।
শিক্ষাঙ্গন খুলে দিয়ে দেশজুড়ে শান্তিপূর্ন পরিবেশ তৈরিতে সরকারকে আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় করেই ঘরে ফেরার প্রত্যয় তাদের। আলটিমেটাম ও নুতন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে দ্রোহযাত্রায় অংশ নেয়া সবাইকে শান্তিপূর্নভাবে গন্তব্যে ফিরে যাবার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।