ভারতের ইলিশ রফতানি বন্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে করে আসন্ন দুর্গাপূজায় ইলিশ সংকট তৈরি হয়েছে পশ্চিমবাংলায়। ইলিশ খাওয়া নিয়ে সংশয়ে ভারতীয় জনগণ।তবে এ অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে। ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি ভারতীয় রপ্তানি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানির জন্য আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।
হিন্দুস্থান টাইমস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা ও আসামে যায় বাংলাদেশের ইলিশ। ওপার বাংলার মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। আর বাংলাদেশের ইলিশ হলে পূজা একেবারে জমে যায়। গত বছরও ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছিল বাংলাদেশ থেকে। তবে এবার কতটা ইলিশ আসবে, আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।
অনেকের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার আসার আগে থেকেই বাংলাদেশে ভারত বিরোধী হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। তবে এবার সেই হাওয়া কি ইলিশের উপরেও পড়বে? এসব বিতর্ক একেবারে তুঙ্গে।
তবে এবার প্রশ্ন ইলিশ আসবে কি না বাংলাদেশ থেকে? কতটা ইলিশ আসবে? সেই ইলিশের দাম কি মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে? পূজার আগে আসবে নাকি তার দিনের কোনও পরিবর্তন হবে- এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে গেলে খুশি হন সেখানকার ইলিশব্যবসায়ীরাও। কারণ এই ইলিশ বিক্রি করে লাভ অনেকটাই হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।