GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com


চেতনা বার্তা ডেস্কঃ আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ১৫ দিনের জন্য মাঠে নামছে সেনাবাহিনী।

দেশের সবগুলো জেলাতেই মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে তারা বিভিন্ন জেলায় যাওয়া শুরু করেছে। এ সময় সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। রিটার্নিং অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন কাজে সেনা সদস্যরা সহায়তা করবেন। সেনাবাহিনীর প্রত্যেক টিমের সঙ্গে ১ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকদিন ধরেই অবস্থান নিয়ে আছে সেনা সদস্যরা।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন হলেও বুধবার সন্ধ্যা থেকে সেনাবহর বিভিন্ন সেনানিবাস থেকে জেলাগুলোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সেনানিবাস থেকে রওয়ানা হয়ে রাতে জেলাগুলোতে পৌঁছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রস্তুত থাকবে সেনাবাহিনী।

প্রত্যেক জেলায় ৮০০ সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে। এর দায়িত্বে থাকবেন একজন লে. কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা। সেনা সদস্যরা জেলা সদরে ক্যাম্প স্থাপন করে অবস্থান করবেন। নির্বাচনের দিন উপজেলাগুলোতে থাকবে দুই থেকে তিন প্লাটুন সেনা।

তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের পাশাপাশি সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ থেকেও একটি সমন্বয় সেল থাকবে।

ইসি সুত্রে জানা যায়, নির্বাচনের আগে ও পরে পুলিশ ও আনসার বাহিনী ৯ দিন নিয়োজিত থাকবে। এরমধ্যে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ভোট গ্রহণের আগের ২ দিন, ভোট গ্রহণের দিন এবং ভোট গ্রহণের পরের দিনসহ মোট ৪ দিন। আর আনসার বাহিনী নিয়োজিত থাকবে ৫ দিন। অর্থাৎ ভোট গ্রহণের আগের ৩ দিন, ভোট গ্রহণের দিন এবং ভোট গ্রহণের পরের ১ দিনসহ মোট  ৫ দিন।

গত ২০ ডিসেম্বর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রিটার্নিং কর্মর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ২৬ ডিসেম্বর থেকে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন।

সিইসি জানান, আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে। নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে পাঁচ লাখ সদস্য ও সশস্ত্র বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্য মিলিয়ে প্রায় ৬ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে এজন্য একটি সেল গঠন করা হবে।

সিইসি জানান, সেনা, পুলিশ, আনসার, বিজিবির, কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার একজন করে প্রতিনিধি এই সেলে থাকবেন। তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা সমন্বয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজের সমন্বয় করবেন।

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রের জন্য ১৫ জন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ১৬ জন, মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে সাধারণ ভোটারের জন্য ১৭ জন, ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৮ জন করে সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পার্বত্য, দীপএলাকায় ও হাওর এলাকায় প্রতিটি সাধারণ ভোটাকেন্দ্রে ১৭ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জন করে সদস্য মোতায়েন করা হবে।
Comments
0 Comments
 
Top