চেতনা বার্তা ডেস্কঃ
পরিশেষে বলা যায়, ইমাম মেহদী (আ.)’র জন্ম
এবং তার বিশাল জীবন ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং পবিত্র কুরআন ও
হাদিস দ্বারা স্বীকৃত। নিষ্পাপ ইমামগণও এ সম্পর্কে গুরুত্ব দিয়ে হাদিস
বর্ণনা করেছেন। এমনকি ঐতিহাসিকরাও তাঁর জন্মের কথা স্থান ও কাল
উল্লেখপূর্বক বর্ণনা করেছেন।
১) কুরআন, সুরা কেসাস ৫, ফাতাহ ২৮, সাফ ৯, নূর ৫৫
২] ইবনে হাজার আসকালানি, তাহজিব আততাহজিব হায়দ্রাবাদ প্রকাশনা, খ:৯, পৃ:১৪৪
৩] সাফি গুলপায়গানি, মোন্তাখাবুল আসর
৪] মাসউদি, মুরুজুজ জাহাব,খ:৪, পৃ:১১২
প্রশ্ন: ইমাম মেহদী (আ.) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? কুরআন-হাদিসে এ বিষয়টি উল্লেখ আছে কি-না?
উত্তর: বিশ্ব মুক্তিদাতা ইমাম মেহদী (আ.)’র অস্তিত্বে বিশ্বাস করা কুরআনের আয়াত দ্বারা স্বীকৃত।[১] এটি ইসলামের মৌলিক ভিত্তিগুলোর অন্যতম এবং এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদিসগুলিও নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসেছে।[২]
অবশ্য অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও তাদের নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের বর্ণনা
অনুযায়ী বিশ্ব ত্রাণকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। যদিও ঐশী গ্রন্থ ও হাদিস
ছাড়া ইমাম মেহদী (আ.) সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা সম্ভব নয়।
হাদিসে বিশ্ব মুক্তিদাতাকে ‘মেহদী’ ও
‘যুগের ইমাম’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইমাম মেহেদী (আ.) সম্পর্কে বহু সংখ্যক
হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইমাম মেহদী (আ.)’র জন্ম সম্পর্কিত বহু
হাদিস রয়েছে। এসব হাদিসের মধ্যে আমরা দু’একটি উল্লেখ করছি:
‘মোন্তাখাবুল আসর’ গ্রন্থটির লেখক ইমাম
মেহদী (আ.)এর জন্ম সম্পর্কে ২১৪টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। এসবের মধ্যে এমন
১৪৬টি হাদিস রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে তিনি ইমাম হাসান আসকারী (আ.)এর সন্তান।
সেইসঙ্গে এই গ্রন্থে এমন ৩১৮টি হাদিস রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ইমাম মেহদী
(আ.) দীর্ঘ জীবনের অধিকারী হবেন। এ ছাড়া, ‘মোন্তাখাবুল আসর’ গ্রন্থে বর্ণিত
৯১টি হাদিসে বলা হয়েছে, ইমাম মেহদী (আ.) দীর্ঘকাল লোকচক্ষুর অন্তরালে
থাকবেন।[৩]
যেসব ঐতিহাসিক ইসলামের ইতিহাস রচনা করেছেন
তারাও ইমাম মেহদী (আ.) এর জন্মের কথা লিখে যেতে ভোলেননি। তারা লিখেছেন,
২৫৫ হিজরিতে ইমাম মেহদী (আ.) বর্তমান ইরাকের সামেরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র শাহাদাতের পাঁচ বছর আগে এই মহান ইমামের জন্ম
হয়।[৪]
১) কুরআন, সুরা কেসাস ৫, ফাতাহ ২৮, সাফ ৯, নূর ৫৫
২] ইবনে হাজার আসকালানি, তাহজিব আততাহজিব হায়দ্রাবাদ প্রকাশনা, খ:৯, পৃ:১৪৪
৩] সাফি গুলপায়গানি, মোন্তাখাবুল আসর
৪] মাসউদি, মুরুজুজ জাহাব,খ:৪, পৃ:১১২