GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দিনের পর দিন পান চাষাবাদের পরিমাণ দ্বিগুণহারে বেড়েই চলছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে পানের ফলনও দেখা দিয়েছে ভাল। করোনার কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় জেলার বাহিরে পান রপ্তানিসহ বাজারজাত করতে না পারায় বিপাকে পরেছে চাষিরা। গাছ থেকে পান তুলতে না পারায় গাছের গোড়া হতে মাথা পর্যন্ত পানে ভরে গেছে। অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় অনেকে এখন পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলায় বর্তমানে ২০০ হেক্টর জমিতে পান চাষাবাদ হচ্ছে। বিভিন্ন জাতের পান এখন  ছেয়ে গেছে উপজেলায়। বিশেষ করে উপজেলার চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, বামনডাঙ্গা,  তারাপুর, সর্বানন্দ, রামজীবন ইউনিয়নে বেশি পান চাষাবাদ হচ্ছে। 



শান্তিরাম ইউনিয়নের পান চাষি বেলাল মিয়া জানান, তিনি আগে পান সুপারি দোকান করতেন। গত ৮ বছর ধরে ২০ শতক জমিতে পানের বরজ দিয়ে পান চাষাবাদ করছেন। প্রতিবছর তিনি খচর বাদ দিয়ে ২ হতে ৩ লাখ টাকা আয় করছেন। বর্তমান বাজারে একশ পান বিক্রি হচ্ছে ১৫ হতে ৩৫ টাকা দরে। করোনার কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় বাহিরে পান বিক্রি করতে না পারায় লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদেরকে। 
কালিতলা বাজারের পান-সুপারির দোকানদার রফিকুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে পানের দোকান বন্ধ থাকায় পান কেনা আপাতত বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া এখন অনেকে পান খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। 
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার এ.কে.এম ফরিদুল হক জানান, পান চাষে এখন অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলায় দিন দিন পান চাষের সংখ্য বেড়েই চলছে। চলতি মৌসুমে পানের ফলনও ভাল হয়েছে।
Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top