দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মাদ নূর তার ফেসবুক পেজে এক অভিনব কায়দায় ধরা পড়া চাঁদাবাজের উড়ো চিঠি ও খড়ের পালায় আগুন লাগানোর নেপথ্যের কথা পোস্ট করেছেন।
চেতনাবার্তার পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো
গত তিনদিন ধরে আমরা খুব বেকায়দায় ছিলাম। উড়ো চিঠি দিয়ে একদল বদমায়েশ একটি গ্রামের মোটামুটি স্বাবলম্বী কৃষকদের কাছে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দিলে কৃষকদের খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। চাঁদা না পেয়ে পরপর দুই রাতে খড়ের পালায় আগুন লাগিয়েছেও ওরা! চিঠির লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল—একদল নেশাগ্রস্ত মানুষ এই অপকর্ম করছে। কিন্তু হাতেনাতে ধরা যাচ্ছিল না।
স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে পরামর্শ করে রাতে গোপন পাহাড়া বসানো হলো। পাহাড়ার ব্যবস্থাপনা খুবই ইন্টারেস্টিং! সম্ভাব্য আগুন লাগাতে পারে এমন খড়ের পালা বাছাই করা হয়েছিল। সেই পালার ভেতরেই এক-দুইজন পাহাড়াদার লুকিয়ে ছিল!
হুম। এই ভদ্রলোক রাত ১.৪০-এ একটা পালায় আগুন দিতে এসেছিল। সাথে আরেক সাথী ছিল। যে পালায় আগুন দিচ্ছিলো, সে পালার ভেতরেই পাহাড়াদার লুকিয়ে ছিল।
এরপর তো ইতিহাস!
হাতেনাতে এই আগুন সন্ত্রাসী ধরা পড়ল। অতঃপর পুলিশের হাতে পৌঁছে দেওয়া হলো। আমরা এই দলের প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা পেয়েছি। প্রত্যেককে মূল্য দিতে হবে ইনশাআল্লাহ। গবাদী পশুর খাবার খরের পালায় যারা আগুন লাগিয়েছে, তাদের অস্তিত্বে আইনের বেড়ি লাগবেই!
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশকেও ধন্যবাদ। অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তারা গ্রামবাসীর পাশে ছিল। আমাদের বর্তমান ওসি সাহেব তো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এক্সক্লুসিভ পারফর্ম করছেন।