ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে ফের হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরের আগে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় নিরাপদ এলাকা বলে ঘোষিত অন্তত ২০টি তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় বাস্তুচ্যুতরা তাঁবুতে ঘুমাচ্ছিলেন।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী খান ইউনিস এবং নিকটবর্তী রাফায় স্থল আক্রমণের সময় উপকূলীয় এই অঞ্চলটিকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এরপর থেকে আল-মাওয়াসির এই তাঁবু ক্যাম্পে অনেক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে আবাসস্থলের সংকটের পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় বাড়ছে খাদ্য সংকট। এতে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে গাজার প্রায় ২২ লাখ বাসিন্দা। ইসরাইলি বাহিনীর ১১ মাসের বেশি সময় ধরে চালানো তাণ্ডবে ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে সব স্থাপনা। উপত্যকাটি পরিণত হয়েছে কংক্রিটের ধ্বংসস্তুপে।
ঘরবাড়ি সব হারিয়ে গাজার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত নিরন্তন ছুটে চলছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার তথ্যমতে, এসব মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু ইসরাইলের অব্যাহত হামলা ও অবরোধের কারণে সহায়তা পৌঁছানোও ক্রমে কঠিন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, পুরোপুরি ধসে গেছে অঞ্চলটির শিক্ষাব্যবস্থা। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঝরে পড়েছে গাজার প্রায় সাড়ে ৬ লাখ শিক্ষার্থী। এছাড়া, তীব্র জ্বালানি সংকটে বন্ধের মুখে গাজার উত্তরাঞ্চলের চিকিৎসাসেবা।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্যমতে, জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্স সেবা। এতে, চরম ভোগান্তিতে গাজার অসুস্থ ও আহত বাসিন্দারা।