রবিবার দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩২তম বিসিএস (বিশেষ) এর মাধ্যমে এক হাজার ৬২৭ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পিএসসি কর্তৃক সুপারিশকৃত আট হাজার ৩৭৭ প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং ৩৪তম বিসিএস’র মাধ্যমে নিয়োগের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বর্তমান অর্থবছরে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১৫ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ৭০ জন ও চতুর্থ শ্রেণীতে ২৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের লক্ষ্য রয়েছে।
দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে ইসমাত আরা বলেন, সরকারি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে রাজস্ব খাতের শূন্য পদ পূরণ একটি স্বাভাবিক ও চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং এর অধীন দফতর ও সংস্থার শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ করার সুবিধার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে ছাড়পত্র গ্রহণের বাধ্যবাধকতা ২০১০ সালে রহিত করা হয়েছে। এছাড়া অনুমোদিত পদের ৯০ ভাগ শূন্যপদ পূরণের ক্ষমতা স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্ব খাতের শূন্যপদ পূরণে মন্ত্রণালয়গুলো দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
শিরিন আখতারের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে জনপ্রশাসনে নারী ও পুরুষের হার এক অনুপাত তিন দশমিক ৪৬। সরকারি চাকরিতে সাধারণভাবে সরাসরি নিয়োগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা ১০ ভাগ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদের ক্ষেত্রে ১৫ ভাগ নির্ধারিত রয়েছে। এই কোটার বাইরেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা কোটায় সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নারীদের জন্য সরকারি কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।