ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে শাহিন আলমের বিস্তৃত তরমুজখেত। সেখানকার মাচায় ঝুলছে রংবেরঙের তরমুজ। কোনোটি গাঢ় সবুজ, আবার কোনোটি হলুদ। ওই খেত দেখতে ভিড় করছেন আশপাশের এলাকার মানুষ।
শাহিন আলম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। কথায় কথায় জানালেন, করোনার থাবায় বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই অবসরে রাজধানী থেকে গ্রামে ফিরে কিছু একটা করার উদ্যোগ নেন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমানের পরামর্শে ইউটিউব দেখে বিদেশি তরমুজ চাষের প্রাথমিক ধারণা নেন। সেই ধারণা থেকে ২৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। রাজধানী থেকে গোল্ডেন ক্রাউন (ওপরে হলুদ, ভেতরে লাল) ও ব্ল্যাক বেবির (ওপরে গাঢ় সবুজ, ভেতরে লাল) তরমুজের বীজ সংগ্রহ করে বপন করেন। চারা হওয়ার পর গত ১৯ জুন সেই তরমুজের চারা জমিতে স্থানান্তর করেন। শুরু করেন নিয়মিত পরিচর্যা।
শাহিন আলম বলেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে গাছে ফল আসতে শুরু করে।
প্রতিটি ফল তিনি নেটের ব্যাগে ঝুলিয়ে দেন। ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাতেও তরমুজ
নষ্ট হয়নি। অসময়ে বিদেশি জাতের তরমুজ চাষ করায় অনেকে কৌতূহল নিয়ে তাঁর
তরমুজ খেত দেখতে আসেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাচায় ঝুলছে কালচে ও হলুদ
রঙের তরমুজ। সবুজ পাতার মধ্যে যেদিকে চোখ যায়, সেখানেই শুধু তরমুজ আর
তরমুজ। তরমুজ দেখতে আসা অনেককেই তরমুজ কেটে আপ্যায়ন করছেন শাহিন।
শাহিন
আলম বলেন, পরীক্ষামূলক তরমুজ চাষে সফলতা পেলে আরও বড় আকারে চাষ করার
পরিকল্পনা আছে। এ পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, সার, বীজ, মাচা, সুতা ও জাল বাবদ
তাঁর খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর খেতের তরমুজ খাওয়ার
উপযোগী হবে। এসব তরমুজ ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রির আশা তাঁর।