দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধিঃ ‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে।’ তাল নিয়ে আমাদের সমাজে এমন অনেক ছড়া আছে। শুধু ছড়াতেই নয়। খাদ্যমানেও তাল অত্যন্ত সুস্বাদুু ও পুষ্টিগুন সম্পন্ন ফল।দুপচাঁচিয়ায় হাট বাজারে পাকা তালের সমারোহ
বাংলা সনের শ্রাবণের মাসের শেষ থেকেই গ্রামে গঞ্জের হাটে-বাজারে পাকা তাল উঠতে আরম্ভ করে। তবে ভাদ্র মাসের গরমে বাজারে প্রচুর পাকা তালের সমারোহ দেখতে পাওয়া যায়। তেমনি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার হাট বাজারগুলোয় জমে উঠেছে পাকা তালের বেচাকেনা।
বাজারে সাধারণ দুই ধরনের তাল রয়েছে। একটির রং কালো আর একটি গাঢ় লালের মাঝে হালকা কালোর ছোপ। তবে কালো রঙের তালের চাহিদাই বেশী। কারণ এতে রস বেশি আর খেতেও মিষ্টি। একটু দূর থেকেই ভেসে আসে মিষ্টি ঘ্রাণ। ছোট বড় নানা সাইজের তাল পাওয়া যায় । প্রতিটি বড় তাল ১০ থেকে ১৫ টাকা, ছোট ও মাঝারি আকারের তাল ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ তাল বিক্রিতা একরাম হোসেন জানান, প্রতি বছর এ সময়ে পাকা তালের চাহিদা থাকে বেশী। পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে তালগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় আগের মতো তাল পাওয়া যায় না।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাছে থেকে জানা যায়, তালের ফল এবং বীজ দুই-ই বাঙালির প্রিয় খাদ্য তালিকায়। যখন তাল ছোট থাকে তখন তালের মধ্যেকার নরম রসালো শ্বাসের চাহিদা থাকে প্রচুর। পাকা তালের রস দিয়ে তৈরি করা হয় নানা রকম সুসাধু তালের বড়া, তালের রুটি, তালের ক্ষীর, তালের পায়েস প্রভৃতি।
তাল কিনতে আসা ক্রেতা রাসেল মন্ডল বলেন, তাল এমন একটি ফল যার সব কিছু খাওয়া হয়। তবে আগের মতো তালের সেই রমরমা দৃশ্য চোখে পড়ে না।
ফল হিসেবে তাল এবং এর পাতার বহুমুখী ব্যবহারের কারণে তালগাছ জনপ্রিয়। তাল গাছের পাতা থেকে তৈরি হয় গরমে আরামদায়ক পাখা। পাখা তৈরি ছাড়াও তালপাতার চাঁটাই, ঘরের ছাউনি, মাদুর, খেলার পুতুল তৈরি করা হয়।