GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

চেতনাবার্তা ডেস্কঃ  বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। শীতকালকে অনন্য ঋতু বলা হয় এর নানা বর্ণ-বৈচিত্র্যের কারণে। বলা হয়ে থাকে, বারো মাসে তের পার্বণ। পৌষ-মাঘ পার্বণে পিঠা-পুলি না হলে যেন বাঙালির জমেইনা। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম শীতকালেই বেশি পড়ে। 

যদিও শীত পার হয়ে বসন্তে হলুদাভ হয়ে উঠেছে পুরো প্রকৃতি তবুও গ্রামাঞ্চলে শীতের আমেজ এখনো কাটেইনি। পিঠা খাওয়ার প্রচলন বাঙালি সমাজে অনেক প্রাচীন। এবং সেই প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।


এই উপমহাদেশে বসবাস করা বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে পিঠা যে জনপ্রিয় খাবার, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রাচীন বাংলায় মিষ্টান্ন হিসাবে পিঠার জনপ্রিয়তাই সম্ভবত বেশি ছিল।

আর সে কারণেই  বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য- সংস্কৃতি ও সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে ও আগামী প্রজন্মকে সেই বার্তা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে বগুড়ার হাজরাদিঘী স্কুল এন্ড কলেজ-এ ১৬ ফ্রেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) উদযাপিত হয়ে গেল পিঠা উৎসব-২০২৩। 

এই উৎসবের উদ্বোধন করেন হাজরাদিঘী স্কুল এন্ড কলেজ-এর  অধ্যক্ষ জনাব পারিজাত রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল কবীরসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। ঐতিহ্যবাহী এই পিঠা উৎসবে বেশ কয়েকটি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয় যাতে বাহারী সব পিঠা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। 

বাহারী সব পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পিঠা ছিল ‘হৃদয়হরণ পিঠা, শাসী পিঠা, ঝিনুক পিঠা, মলকো পিঠা,  সেমাই পিঠা, বাঁধাকপি পিঠা, জামাই পিঠা। এছাড়াও ছিল চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা ইত্যাদি।

এ বিষয়ে উক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোঃ রাশেদুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে, তিনি জানান, স্কুলের কো-কারিকুলামিএক্টিভিটিস এর অংশ হিসেবে শীতকালীন এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। যাতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এবং শিক্ষার্থীরা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা বুকে ধারণ করতে পারে। 

সহকারী শিক্ষক মামুনার রশীদ বলেন, ইউনিসেফ এর মতে বাচ্চারা পড়ালেখা শিখবে আনন্দময় পরিবেশে এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আয়োজন। 

পিঠা উৎসবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন সহকারী শিক্ষক জনাব রাশেদুল ইসলাম সুমন, রাসেল মিয়া ও মোস্তাফিজার রহমান। 

এবং একইদিনে ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এর যৌথ  আয়োজনে ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জনাব পারিজাত রহমান এর সভাপতিত্বে "শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা" নামে ভলিবল টুর্নামেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা প্রশাসন বগুড়া সদর, বগুড়া।


উক্ত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া ক্রীড়া অফিসের কর্মকর্তা জনাব মাসুদ রানা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের সম্মানিত প্রতিনিধি জনাব লায়লা রহমান। 

উক্ত ভলিবল খেলায় অংশগ্রহণ করে ‘বালিকা এ’ দল ও ‘বালিকা বি‘ দল এবং ‘বালক এ‘ দল ও ‘বালিকা বি‘ দল। খেলায় ‘এ‘ দল বিজয়ী হয়। 

খেলা পরিচালনা করেন রেফারি এ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত সদস্য জনাব হেলাল উদ্দিন ও বগুড়া জেলা ভলিবল দলের খেলোয়াড় তুষার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক জনাব জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী শিক্ষক মামুনার রশীদ। খেলা শুরুর পূর্বে অতিথিদের গার্ড অব অনার দেয় স্কাউট দল। খেলা শেষে পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থীকে জার্সি ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।


Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top