চেতনা বার্তা ডেস্কঃ আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আজ মঙ্গলবার। সেখানে নির্ধারিত হবে বাংলাদেশেল
ভাগ্য। কিন্তু বৈঠকের আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা প্রচণ্ড চাপ
সৃষ্টি করছে বাংলাদেশের ওপর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে চাপে ফেলে দাবি আদায়ে মরিয়া ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। এখনি এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলার হুমকি দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি শ্রীনিবাসন। খবর আনন্দবাজারের।
ভারতের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে হলে ৭ পূর্ণ সদস্য দেশের সম্মতি প্রয়োজন। এমনিতে আইসিসির সংবিধান বদলের জন্য ৮ দেশের সম্মতি দরকার হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার হল ৭।
সোমবার রাত পর্যন্ত ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া (বিগ থ্রি) ৬-এ আটকে আছে। এ জন্য প্রয়োজন আরো এক দেশের সমর্থন। আর এ কারণেই বাংলাদেশের বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের ওপর বারবার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
পরিকল্পনাকারী শ্রীনিবাসনের মা মারা যাওয়ায় দুবাই যেতে পারেননি তিনি। তার হয়ে বাংলাদেশের বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন আইপিএল কর্তা সুন্দর রামন এবং সচিব সঞ্জয় প্যাটেল। বাংলাদেশ রাজি হচ্ছে না দেখে স্কাইপেতে শ্রীনিবাসনকে ডেকে আনা হয়। সেখানে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনারা রাজি না হলে আমরা এ বছর বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবো না। এশিয়া কাপ থেকেও নাম তুলে নেবো। দেখি আপনারা কী করেন?
এ রকমই চাপের মধ্যে পড়ে এ দিন জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ শ্রীনিবাসনদের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
জিম্বাবুয়ে কর্তা পিটার চিঙ্গোকা বিশ্ব ক্রিকেটে তার শুভানুধ্যায়ীদের অকপটে বলেন, জানি নোংরা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে যাচ্ছি। কিন্তু কিছু করার নেই। আমাদের বোর্ডের টাকা দরকার। ভারত অনেক টাকা দেবে বলেছে।
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে অবশ্য ভারত বহু চেষ্টাতেও দলে বেড়াতে পারেনি। তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রামিজ রাজা সোমবার সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে ভারতের প্রস্তাবে আমাদের রাজি হয়ে যাওয়া উচিত।
সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্লাইভ লয়েড অবশ্য ভারতের আনা প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, এটা অবিলম্বে প্রত্যাহার হওয়া উচিত। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী বিশ্ব ক্রিকেটে ক্ষমতার দুটো স্তর হয়ে যাবে। একটা দিকে থাকবে বাকি ৭টা দেশ। তাদের মধ্যে অবনমন থাকবে। বাকি ৩ দেশ হবে ৩ প্রধান।
অন্যদিকে অভূতপূর্বভাবে ৫ সাবেক আইসিসির সভাপতি বিভিন্ন সদস্যদের কাছে মেইল করে আবেদন করেছেন, ৩ প্রধানের চাপের কাছে মাথা না নোয়ানোর। ম্যালকম গ্রে, ম্যালকম স্পিড, এহসান মানি, শাহরিয়ার খান এবং তৌকিব জিয়া। সবাই ডালমিয়াকেও ফোন করেছিলেন। যদি তিনিও আবেদনে সই করেন। এখানে সই করা মানে শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে যাওয়া। ডালমিয়া স্বভাবতই রাজি হননি।
ভারতীয় ক্রিকেটমহলে এমনও ধারণা জন্মাচ্ছে যে নিজের স্বল্পকালীন লাভের কথা ভাবতে গিয়ে দীর্ঘকালীন মেয়াদে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বনাশ করে ছাড়ছেন শ্রীনিবাসন। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো একত্রিত হয়ে যে জোট তৈরি হয়েছিল সেটা তিনি শুধু ভেঙ্গেই দেননি, প্রচন্ড হানাহানির সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছেন। এরা কেউ আর ভারতকে বিশ্বাস করতে রাজি নয়। অনেকেই ভাবছেন ভবিষ্যতে কোনো ক্রিকেটীয় ইস্যুতে ভোটাভুটি হলে ৩ প্রধানের মধ্যে ভারতই তো সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে পড়তে পারে। হেরে যেতে পারে ১-২।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে চাপে ফেলে দাবি আদায়ে মরিয়া ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। এখনি এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলার হুমকি দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি শ্রীনিবাসন। খবর আনন্দবাজারের।
ভারতের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে হলে ৭ পূর্ণ সদস্য দেশের সম্মতি প্রয়োজন। এমনিতে আইসিসির সংবিধান বদলের জন্য ৮ দেশের সম্মতি দরকার হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার হল ৭।
সোমবার রাত পর্যন্ত ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া (বিগ থ্রি) ৬-এ আটকে আছে। এ জন্য প্রয়োজন আরো এক দেশের সমর্থন। আর এ কারণেই বাংলাদেশের বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের ওপর বারবার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
পরিকল্পনাকারী শ্রীনিবাসনের মা মারা যাওয়ায় দুবাই যেতে পারেননি তিনি। তার হয়ে বাংলাদেশের বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন আইপিএল কর্তা সুন্দর রামন এবং সচিব সঞ্জয় প্যাটেল। বাংলাদেশ রাজি হচ্ছে না দেখে স্কাইপেতে শ্রীনিবাসনকে ডেকে আনা হয়। সেখানে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনারা রাজি না হলে আমরা এ বছর বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবো না। এশিয়া কাপ থেকেও নাম তুলে নেবো। দেখি আপনারা কী করেন?
এ রকমই চাপের মধ্যে পড়ে এ দিন জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ শ্রীনিবাসনদের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
জিম্বাবুয়ে কর্তা পিটার চিঙ্গোকা বিশ্ব ক্রিকেটে তার শুভানুধ্যায়ীদের অকপটে বলেন, জানি নোংরা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে যাচ্ছি। কিন্তু কিছু করার নেই। আমাদের বোর্ডের টাকা দরকার। ভারত অনেক টাকা দেবে বলেছে।
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে অবশ্য ভারত বহু চেষ্টাতেও দলে বেড়াতে পারেনি। তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রামিজ রাজা সোমবার সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে ভারতের প্রস্তাবে আমাদের রাজি হয়ে যাওয়া উচিত।
সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্লাইভ লয়েড অবশ্য ভারতের আনা প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, এটা অবিলম্বে প্রত্যাহার হওয়া উচিত। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী বিশ্ব ক্রিকেটে ক্ষমতার দুটো স্তর হয়ে যাবে। একটা দিকে থাকবে বাকি ৭টা দেশ। তাদের মধ্যে অবনমন থাকবে। বাকি ৩ দেশ হবে ৩ প্রধান।
অন্যদিকে অভূতপূর্বভাবে ৫ সাবেক আইসিসির সভাপতি বিভিন্ন সদস্যদের কাছে মেইল করে আবেদন করেছেন, ৩ প্রধানের চাপের কাছে মাথা না নোয়ানোর। ম্যালকম গ্রে, ম্যালকম স্পিড, এহসান মানি, শাহরিয়ার খান এবং তৌকিব জিয়া। সবাই ডালমিয়াকেও ফোন করেছিলেন। যদি তিনিও আবেদনে সই করেন। এখানে সই করা মানে শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে যাওয়া। ডালমিয়া স্বভাবতই রাজি হননি।
ভারতীয় ক্রিকেটমহলে এমনও ধারণা জন্মাচ্ছে যে নিজের স্বল্পকালীন লাভের কথা ভাবতে গিয়ে দীর্ঘকালীন মেয়াদে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বনাশ করে ছাড়ছেন শ্রীনিবাসন। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো একত্রিত হয়ে যে জোট তৈরি হয়েছিল সেটা তিনি শুধু ভেঙ্গেই দেননি, প্রচন্ড হানাহানির সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছেন। এরা কেউ আর ভারতকে বিশ্বাস করতে রাজি নয়। অনেকেই ভাবছেন ভবিষ্যতে কোনো ক্রিকেটীয় ইস্যুতে ভোটাভুটি হলে ৩ প্রধানের মধ্যে ভারতই তো সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে পড়তে পারে। হেরে যেতে পারে ১-২।